রিম্বিক

সিঙ্গালিলা ন্যাশানাল পার্কের অন্তর্গত ছোট্ট একটি গ্রাম রিম্বিক। মূলতঃ ট্রেকারদের কাছেই পরিচিত সিকিম ও নেপাল সিমান্তের কাছের এই সবুজ হ্যামলেটটি। নীচ দিয়ে বয়ে চলা রাম্মাম নদী আর ঘন সবুজ বনানী দিয়ে ঘেরা রিম্বিক এখন‌ও সাধারণ ট্যুরিস্টদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেনি। তবে ট্রেকার্স বা বার্ড ওয়াচারদের স্বর্গরাজ্য এই গ্রাম। মূলতঃ দুটি ট্রেক রুট রিম্বিককে সান্দাকফুর সাথে কানেক্ট করে। একটি রাস্তা গহীন জঙ্গলের আলো আধারী পথ ধরে বিকেভাঞ্জন থেকে রিম্বিক হয়ে আরেকটি ট্রেকরুট রিম্বিক , গুর্দুম, শ্রীখোলা হয়ে।

যদিও দ্বিতীয় পথটি দীর্ঘ তবুও সবুজতা আর সৌন্দর্যে হারাতে চাওয়া ট্রেকার্সরা পিঠে ব্যাগ নিয়ে এই পথেই হেঁটে যাওয়া পছন্দ করেন। কোন কোন ট্রাভেলার গুর্দুম অব্দিও ট্রেক করেন। পাহাড়ের বন্য পরিবেশ কে এখন‌ও যারা খোঁজেন, অফবিটগুলি টুরিস্টদের চাপে অনবিট হয়ে যাওয়ার দুঃখে যারা খুঁজে বেড়ান নতুন ঠিকানা, খুঁজে বেড়ান পাহাড়ের সেই কাঠপোড়া গন্ধ আর নিঃস্তব্দতাকে তাদের জন্য এক আদর্শ ঠিকানা রিম্বিক। সিঙ্গালিলার প্রাকৃতিক প্রাচুর্য আর নানান হিমালয়ান পাখি ও প্রাণীর অবলীলায় বিচরণ ক্ষেত্র রিম্বিক। ইচ্ছেমতো বেড়িয়ে পড়ুন জঙ্গলের পথ ধরে। হোমস্টেতে লাক্সারী পাবেন না ঠিক‌ই তবে পাবেন আতিথিয়তার উষ্ণ আমেজ এবং অর্গানিক সব্জির রান্না। ডিসেম্বর জানুয়ারীর তীব্র ঠান্ডায় এই অঞ্চলে কিছুটা স্নোফল‌ও হয়, তাই সেই স্বাদ নিতে চাইলেও আসতেই পারেন রিম্বিকে।

রিম্বিক থেকে মাত্র ৭ কিমি দূরে শ্রীখোলা এবং ১০ কিমি দূরে গুর্দুম। মূলতঃ ট্রেক পথ এগুলো। দিনে দিনেই ট্রেক করে আসা যায়। টিম্বুরে গ্রামটিও ঘুরে আসা যায় দিনে দিনেই। রাম্মাম হাইড্রেল প্রোজেক্ট, ফেডিখোলা, জোরোয়া লেক প্রভৃতি ঘুরে আসতে পারেন। সারাদিনের সাইটসিং কস্ট গাড়ীতে আনুমানিক ৪০০০/- । এছাড়া ব্ল্যাক ফরেস্ট ট্রেক, হাইকিং, বার্ড‌ওয়াচিং এখানকার অন্যতম আকর্ষণ।

kolponarrong

নিউ জলপাইগুড়ি থেকে রিম্বিকের দূরত্ব ১২৮ কিমি

গাড়ী ভাড়া আনুমানিক

সুমো/বোলেরো ৭০০০/-,

ছোট গাড়ী ৫৫০০/-

সময় লাগে ৬ ঘন্টা। এছাড়া সকাল ১০.৩০ মিনিটে শিলিগুড়ির দার্জিলিং মোড় থেকে শেয়ার গাড়ী পাওয়া যায়। একবারে রিজার্ভ গাড়ীতে এলে খরচ অনেকটাই বেশি তাই শেয়ার করে আসাই পকেটের জন্য ভালো।
হোমস্টেতে থাকা ও খাওয়ার খরচ ১২০০/- জনপ্রতি প্রতিদিন সমস্ত মিল সহ।