এমন একটা সময় ছিল যখন মেয়েদের পড়াশোনাকে যোগ্য মনে করা হতো না। আর বর্তমানে অনেক মানুষ এখন এটাই ভাবে ।
এখনো বলবেন ছেলে এবং মেয়েদের সমান অধিকার দেওয়া হয়েছে ? কিছু মেয়ে পড়াশোনা করে নিয়েছে বলে সব মেয়েদের জীবনকে এক হয়ে গেছে । আপনি কি জানেন একটা মেয়ের ব্যাপারে ? প্রত্যেক সময় মেয়েদের এমন কিছু প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় একটা ছেলের জীবনে হয়তো কল্পনাও করতে পারবেনা। ওর মেয়ে একটু নিচে চলে এসেছে মানুষ থেকে চরিত্রহীন বলে দেবে, মেয়েটা বেশি হাসছে না মানুষ তো আবার উল্টো জিনিসটাই বুঝবে । অফিস এ কাজ পেয়েছে , প্রমোশন হয়েছে , তখনই সমালোচনা শুরু করে দিবেন আপনার , ওই মেয়ে বস এর খুব কাছের লোক ছিল বলেই প্রমোশন হয়ে গেল । আবার সেই মেয়েকে কাজ শেষ করে ঘরে গিয়ে সবার জন্য রান্না করতে হবে, কেননা ঘরের বাইরে দুজন কাজ করলেও , ঘরের খাবার তো একজন নারীকেই বানাতে হয় । যখন কোন ছেলে কাজ করে অনেক রাতে বাড়ি ফিরে তখন আপনারা বলে থাকেন আহারে ছেলেটা অনেক কাজ করেছে আজ, আর এই কাজটা যদি একটা মেয়ে করে থাকে তাহলে আপনি বলবেন এমন কি কাজ ছিল যে রাত জেগে করতে হয় । প্রতিটা দিন আমাদের মেয়েদের এমন জিনিসের সম্মুখীন হতে হয় যা শুধুমাত্র একটি মেয়ে বুঝতে পারে । ব্রার ফিতা দেখা যাচ্ছে না তো ? যে মানুষটা অনেকক্ষণ ধরে ফলো করছিল , সে কিছু করবেনা তো? ভিড়ের মধ্যে যেকোনো জায়গায় অনায়াসে স্পর্শ করতে পারে , কেননা একটি মেয়ে যখন পাবলিক প্লেসে যায় তখন সে একটা পাবলিক প্রপার্টি হয়ে যায় আপনাদের কাছে । আমি দেখেছি বাসের মধ্যে মেয়েদের সিট রিজার্ভ থাকে এতে ছেলেদের হয়তো অনেক আপত্তি কেউ কেউ বলে ওঠে সমান অধিকার চাই আবার রিজার্ভেশনে চাই ।
আর প্রত্যেক মাসে যখন আপনার শরীর থেকে জলের মতন রক্ত পড়বে , মাথায় অসহ্য যন্ত্রণা হবে, তখন আমরা ! একটা ছেলে আর মেয়ের পার্থক্যের কথা বলব । দয়া করে একটা মেয়ের কি করা দরকার আর কি করা দরকার না এটা বলে নিচের এনার্জি নষ্ট না করে মেয়েরা কি চায় তা পূরণ করা সুযোগটা করে দিন । বরাবরই তো দূরের কথা, মেয়েদের আগে নিজের মনের মত স্বাধীন তো হতে দিন ।
“Words can be worrisome, people complex, motives and manners unclear, grant her the wisdom to choose her path right, free from unkindness and fear.”