জীবনের সবকিছুই আপেক্ষিক

জীবনের সবকিছুই আপেক্ষিক

জীবনের সবকিছুই আপেক্ষিক, কারো মার্সিডিজ থামছে রাতের গভীরে নিষিদ্ধ পল্লীতে, ঘরে অপেক্ষারত স্ত্রী দীর্ঘশ্বাস ফেলছে…! কেউ ভাঙা ঘরে থেকে স্ত্রীকে নিয়ে অবিরত স্বপ্নের জোয়ারে ভাসছে। কেউ ভাবছে আর কয়েকটা দিন! ডিভোর্স পেপারে সাইন করলেই মুক্তি। কেউ কেউ আবার একটা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য অবিরাম যুদ্ধ করে চলছে। কেউ সদ্যোজাত সন্তানকে ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে দায়মুক্ত হতে চাইছে। আবার কেউ একটা সন্তানের জন্য সারাটা জীবন হাহাকার করছে!

কেউ বছরে কতোজন ভালবাসার মানুষ বদলে ফেলছে! কেউ আবার তার ভালবাসার মানুষের জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করে চলছে। কেউ দামি শাড়ি হাতে পেয়ে তবু খুশি নয়! আবার কেউ তাঁতের নতুন শাড়ির গন্ধ বারবার শুঁকছে। কেউ প্রিয়জন এর কাছ থেকে সোনা বা হিরের চুড়ি পেয়ে খুশি নয়, কেউ প্রিয়জন এর কাছ থেকে পাওয়া কাঁচের চুড়িতে স্বর্গের সুখ খুঁজে পাচ্ছে। কেউ লাখ টাকার ডাইনিং টেবিলে বসেও তৃপ্তি সহকারে খেতে পারছেনা! কেউ পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা কচলিয়ে গোগ্ৰাসে পান্তা গিলছে। কারো দামি খাটে শুয়েও ঘুমের ওষুধ খেতে হচ্ছে! কেউ আবার হিমেল হাওয়ায় অঘোরে ঘুমোচ্ছে।

কারো পড়ার টেবিলে নতুন বইয়ের সমারোহ কিন্তু পড়ার ইচ্ছে নেই। কেউ আবার পুরাতন বইয়ের দোকান চষে বেড়াচ্ছে, পকেট খালি বলে! কেউ বিলাসবহুল গাড়িতে বসে চিন্তিত, সন্তানগুলো মানুষ হলোনা! এতো সম্পত্তি রাখতে পারবেতো? কেউ পায়ে হেঁটে পথ চলছে, আর মনে মনে ভাবছে… সন্তানতো মানুষ করতে পেরেছি! ঈশ্বর চাইলে, ওরা নিজেরাই নিজের জীবনটা গড়ে নেবে।

নানান রঙের মানুষ,
বিভোর নানা স্বপ্নে,
জীবন এঁকে বেড়ায়
সাদাকালো আলাপনে !!
আসলে এটাই বাস্তবতা। সুখ এবং শান্তি সর্বদাই আপেক্ষিক।
কারো সব থেকেও “সুখ” জিনিসটাই নাই, আবার কারো বাকি সব ঘাটতি থাকলেও সুখটা আছে!
কেউ দুইবেলা খাওয়ার জন্য সারাদিন হাটে, আবার কেউ খাবার হজম করার জন্য হাটে।

bigboss ott

Rehabilitation centre in kolkata