স্ত্রীর প্রতি স্বামীর কর্তব্য
সমাজে একটি পবিত্র বন্ধন হলো বিবাহ। আর এই বিবাহের মাধ্যমে একজন নারী এবং একজন পুরুষ একে অপরের মধ্যে একটি আলাদা সম্পর্কের তৈরি হয়ে যায়। আর এই সম্পর্ক হলো স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক।এ সম্পর্কে রয়েছে দায়িত্ব,ভালোবাসা,হাসি,কান্না,সুখ,দুঃখ ইত্যাদি আরো কতো কি।আর এই সবকিছু মিলিয়েই তাদের পথচলা।বিভিন্ন বাধা বিপত্তি পেড়িয়ে তারা সুন্দর একটি সংসারের স্বপ্ন দেখে।
এই সম্পর্কে এতকিছুর মাঝে একে অপরের প্রতি অনেক দায় দায়িত্বও রয়েছে। তবে একজন স্বামীর স্ত্রীর প্রতি দায়িত্ব একটু বেশি থাকবে এটাই সমাজের নিয়ম।তবে তাহলে একজন স্ত্রীর প্রতি একজন দায়িত্বশীল স্বামীর কর্তব্য থাকা উচিত? আসুন জেনে নেই স্বামী হিসেবে প্রথম এবং প্রধান দায়িত্ব হলো স্ত্রীর ভরনপোষণ করা।এবং তার যবতীয় মৌলিক অধিকার পূরণ করা।তার খাদ্য,বস্ত্র,বাসস্থান তথা সকল মৌলিক অধিকারের সঠিক ব্যবস্থা করা আপনার দায়িত্ব।
বিবাহের পরে একজন স্বামী তার স্ত্রীর সকল দায়িত্ব গ্রহন করে।এ দায়িত্ব শুধু ভরন পোষনেরই নয়।এই দায়িত্ব তাকে ভালোবাসার,সুখে রাখার,কখনো কষ্ট না দেওয়া ইত্যাদি আরো কতো কি।আমরা বিভিন্ন মহাপুরুষের জীবনী লক্ষ করলে দেখতে পাই তারা একদিকে ছিলেন যেমন সৎ বিচক্ষণ পরাক্রমশালী তেমন ছিলেন তাদের স্ত্রীর প্রতি দায়িত্বশীল।
একজন স্বামীর কর্তব্য তার স্ত্রীকে সংসারের সকল কাজে সহয়তা করা।যখন আপনি আপনার স্ত্রীর কাজে সামান্য সাহায্য করবেন দেখবেন সে সকল কিছু খুব সুন্দর ভাবেই পরিচালনা করার শক্তি পাবে।কারন নারী মন হলো কোমল এবং অল্পতেই তাদের কোমল হৃদয় ভেঙ্গে পড়ে তাই সকল কাজে তাদের সাহসের যোগান দেওয়া আপনারা কর্তব্য।
স্বামীর দরকার স্ত্রীর কাজে স্বামীর প্রসংসা করা।এবং সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান করা।প্রতিটি মেয়েই সবচেয়ে খুশি হয়ে থাকে তার সৌন্দর্যের প্রসংশা শুনে তাই তার সৌন্দর্যের প্রসংশা করুন।সন্তান প্রতি পালনের বিচক্ষণতার কথা বলুন।এবং তার সকল ভালো কাজের জন্য কৃতকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে শিখুন।
সংসারে যখন নতুন অতিথি আসে অর্থাৎ একটি সংসারে নবজাতকের আগমন ঘটে তখন যেমন স্ত্রী তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারায় এবং শারিরীক এবং মানসিক ভাবে দূর্বল হয়ে পড়েন।তাই এসময় তার বিশ্রাম এবং একটু বাড়তি যত্নের প্রয়োজন পড়ে।আর একজন স্বামী হিসেবে এসবের ব্যবস্থা করা এবং তার মনোবল বৃদ্ধি করা আপনার দায়িত্ব!
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক সবচাইতে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হলেও এখানেও অধিকারের সীমানা রয়েছে।তাই আপনার স্ত্রীর প্রতিটি কতটা অধিকার ফলানো উচিত তার মাত্রা বজায় রাখার চেষ্টা করলেই একদিকে তা হবে সুখের তেমনি মঙ্গলজনক!