কতদিন কতরাত কেবল পরিচিত ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে
কতদিন, কতরাত কেবল পরিচিত ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে। অহেতুক নিজেকে আটকে রাখার মিথ্যে প্রয়াস চলে খালি। নিঃঝুম দুপুরগুলোতে বা বেলাশেষের বিকেলগুলো তে ইচ্ছে হতো ইট-কাঠ-সিমেন্টের জঙ্গল ভেদ করে অচিন কোনো গ্রহে পারি দিতে। কিন্তু, না।
সে সব এখন কেবল ভাবনার স্তরেই বিরাজমান। চারিদিকে কেবল বিধিনিষেধের যবনিকা। আচ্ছা, এভাবে জোর করে গলা টিপে বেশিদিন, বেশিক্ষণ কী আর নিজের মনকে বন্দির শিকলে বেঁধে ফেলা যায়!! বোধহয় না। এতো ভয়, এতো উৎকন্ঠায় থাকতে থাকতে জীবনের ছন্দ আজ বিস্মৃতির পথে। যেখানে কিছুকাল আগেও নিজের ইচ্ছেরা ডানা মেলে উড়ে যেত নীলচে আকাশের গোপন বুকে, আজ সেখানে নিয়মের বেড়াজাল। আসলে আমরা বড় অবাধ্য। হয়তো এটাই স্বাভাবিক।এই অবাধ্য না হলে হয়তো আবিষ্কারের নেশাই পৃথিবীর বুকে জন্মাতো না।
কেবল জড়ত্বের মুখোশেকেই স্বাভাবিক, চিরন্তন ভেবে আবারও বড়সড় কোনো ভুলে ডুব দিতাম। মিথ্যে হাওয়াই গা ভিজিয়ে জীবন থেকে মৃত্যু অবধি হেঁটে যেতাম। কখনও কখনও বন্দীরও ইচ্ছে হয় খোলা আকাশে ডানা মেলে উড়তে।
সাগরের নোনা জলে দিগন্ত বরাবর ভেসে যেতে।
ঝাউবন ঘেঁষে পশ্চিমাকাশে যে ক্লান্ত সূর্যাস্ত হয় তা চেখে চেখে দেখতে। আর এইজন্যই বোধহয় ভ্রমণ। যা মুহূর্তে পারে বিষাদকালো মেঘ নিমেষে কাটিয়ে এক হৃদয় স্নিগ্ধতা এনে দিতে। সেদিন আকাশের মুখে আধো আধো অভিমান। কখনও দেখা দেয়। কখনও মিলিয়ে যায় এক বুক কালো মেঘের অন্দরে। তবু চিকচিক করে যতদূর চোখ যায় সেই বালুকণার বুকে। সকাল হয়েছে তা প্রায় বহুক্ষণ হলো।
বের ঐ নরম অর্ক তখন মাঝ আকাশে সর্বশক্তি প্রদর্শন করে ক্রমশ ক্লান্তির নীড়ে ঢলে পড়ছে। এখানে আকাশ আর সাগরের সীমান্তে এসে একাকার হতে হয়। কী জানি না বলা কথারাও যেন কতকিছু বলে চলে ভীষণ নিভৃতে। মুহুর্তকে সাক্ষী রেখে সৈকতের বুক জুড়ে ফেনা উঠে আবার মিলে যায় নরম বালির গোপন অন্দরে। মাঝেমাঝে ভেসে থাকে শ্বেতাভ ঝিনুকের খোল। জানিনা তাতে মুক্তো আছে কিনা!
তবে নির্জীব হয়েও তারা বেঁচে থাকে, বাঁচিয়ে রাখে কতশত মানুষের মনের গভীর কথা। কেবলই খুঁজে চলা। যদি পাওয়া যায়, যদি দেখা মেলে আরও দু-একটা শ্বেতাভ দলের। হয়তো ইচ্ছে হয় সাগরের ফেনা মেখে পড়ন্ত রোদে গা ভিজিয়ে বালুরাশি ধরে আরও এগিয়ে যেতে। যেখানে সন্ধানহীন ঠিকানায় পৌঁছে যাওয়া যায়। যেখানে গাঙচিল উড়ে যায় নোনা হাওয়া মেখে।
রিম্বিক ভারত-নেপাল সীমান্তের নিকটবর্তী একটি গ্রামে ঘুরে আসুন