আমরা কেউই আসলে ভালবাসা চাই না

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জীবনে ভালবাসার চাহিদাও বদলে যায়। ১৮-১৯ বছর বয়সে যেরকম ভালবাসা চাইতাম। ২৫ পার করে আর সেরকমটা চাই না। সারাদিন আমার সঙ্গে জুড়ে থাকতে হবে না। মাঝে মধ্যে একটা-আধটা টেক্সট করলেই চলবে। দীর্ঘক্ষণ খোঁজ না পাওয়া গেলে, কী গো বেপাত্তা হয়ে গেলে লিখলেও বোঝা যায় ভালবাসা বেঁচে আছে। আমরা কেউই আসলে ভালবাসা খুঁজি না

খুব একটা যত্নের দরকার নেই। ঠিক যেন পাহাড়ের গায়ে ফোটা কোনও বেনামি অর্কিড। অল্প জল-আলো-হাওয়া পেলেই যথেষ্ট। খানিক যত্নেই তা বেড়ে উঠবে।
মাথাটা খুব ব্যথা করলে একটু টিপে দিলেই চলবে। শরীরের চাহিদা যতটা না তীব্র, তার চেয়ে মনের চাহিদা অনেক বেশি জোরাল। রাতে তিরিশ মিনিটের জন্য আসলেও চলবে। অন্তত কিছু কথা তো বলা যাবে।
ঠোঁটে-ঠোঁট থাকুক কখনও সখনও। কিন্তু রোজ রাতে বুকে মাথাটা থাক। একটা গল্পের পাতা উল্টে কিছু শোনাক বা কোনও গান গুনগুন করুক সে।


ভালবাসা কখনও কমে না। সেটার বহিঃপ্রকাশ বদলে যায়। দীর্ঘদিন ভালবাসতে না পারলে সেটা ভেতরে জমতে থাকে। সুযোগ পেলে ঠিকই বেরিয়ে আসে।
আমরা কেউই আসলে ভালবাসা চাই না, একটা ভাল’বাসা’ খুঁজি। যেখানে একটা আশ্রয় পাওয়া যাবে। ক্লান্ত মনটা দু’দণ্ড জিরিয়ে নিতে পারবে। দু’টো মানুষ নিঃশর্তে শুধুই ভাল থাকতে পারবে। ❤️