নিষিদ্ধ গলির এক ছোট্টো ঘর মেয়েটি বললো

নিষিদ্ধ গলির এক ছোট্টো ঘর, মেয়েটি বললো লে বাবু তাড়াতাড়ি শুরু কর, আমাকে আবার অন্য খদ্দের ধরতে হবে।।
ছেলেটির উত্তর – সিগারেট খেতে পারি?
মেয়েটিঃ ঢং কত, যা খুশি খাও,
এবার ছেলেটি বললো- আচ্ছা আমরা কি কিছুক্ষণ গল্প করতে পারি,
মেয়েটি- যা করতে এসেছিস, সেটা করে বিদেয় হো।।
ছেলেটি- আচ্ছা কিছুক্ষণ কথা বলি না।।
মেয়েটি- আচ্ছা বল।।
ছেলেটি- তোমার নাম কি?
মেয়েঃ চামেলি….নিষিদ্ধ গলির এক ছোট্টো ঘর মেয়েটি বললো
আরে সেটা তো তোমার পোশাকি নাম আসল নাম?
মেয়েটি চুপ করে উত্তর দিলো চন্দ্রানি।।
তুমি হঠাৎ এ কাজে কেন?
কিছুক্ষণ ঘরে নীরবতা, তারপর হঠাৎ বলে উঠলো,
আমি তখন স্কুলে পড়ি, মেট্রিক পরীক্ষা দেবো, একটা ছেলেকে ভালো লাগে আমার, আসলে অনেকদিন বলছিল ভালোবাসি ভালোবাসি, আমরাও মনে হলো ওকে হ্যাঁ বলা দরকার।।
ছেলেটিঃ তারপর……
মেয়েটি আবার শুরু করলো – ছেলেটা চা বাগানে কাজ করতো, আমার জন্য কত কি নিয়ে আসতো, একদিন তো আমার জন্মদিনে কেক নিয়ে এলো।।
জানিস বাবু আমি জন্মদিনে কনোদিন কেক কাটিনি, তাই খুব ভালো লাগলো।।
ওকে অনেক ভালোবাসতাম।।
অনেক বার বলতো তোমায় কাছে পেতে চাই, কিন্তু আমি বলতাম ওসব বিয়ের পর।।
তারপর এক শীতের দুপুর, স্কুল শেষে ফিরছি, হঠাৎ বললো আমাদের পালাতে হবে, আমি তো অবাক, বললাম কেন?
সে বললো আমি বড়িতে বলেছি তোমার কথা, বাড়িতে মানেনি আমাদের সম্পর্ক।।
তারপর তারপর…….
মেয়েটির চোখে জল, নীরবতা…..
নীরবতা ভেঙ্গে বলে উঠলো- ওর সাথে তখনই পালিয়ে গেলাম, তারপর উঠলাম এ পাড়াতে, ও বললো কিছুদিন পর আবার আসবে ততদিন আমার দেখাশোনা করবে রুপা।।
কিছুদিন পর জানতে পারলাম আমাকে বিক্রি করে দিয়েছে ২০০০০ টাকায়।।
জানিস বাবু প্রথমে এসব করতে চাইনি, কিন্তু ওই বাবুটা আমার সাথে জোরজবরদস্তি করলো, মাসি মারলো আমায়, আমার খাওয়া বন্ধ।।
তারপর রুপা লুকিয়ে খাবার এনে বললো,, ও আসবে না, এটাই তোর নিয়তি,
তারপর থেকে আর কিছু ভাবি না।।
ছেলেটাঃ আচ্ছা এটা হওয়ার তোমার কি ইচ্ছে ছিলো।।
মেয়েটাঃ ইচ্ছে ছিলো শহরে গিয়ে চাকরি করবো, বাপ মা কে দুবেলা পেটপুরে খাবার দেবো।।
মেয়েটাঃ চোখের জল মুখে, নে এবার কর, না হলে মাসি চিল্লাবে।।
ছেলেটাঃ টাকাটা দিয়ে……
মেয়েটাঃ কিরে বাবু কিছুই তো করলি না তাহলে টাকা কেন?
ছেলেটাঃ তোমার গল্প শুনলাম তার টাকা।।
কিছুদিন পর……
রুপ এসে বললো…৷ তোর ছুটি তোকে আর এসব করতে হবে না।।
চামেলিঃ কেন?
রুপাঃ একটা বাবু তোকে নিয়ে যেতে এসেছে, মাসিকে ৫০০০০ টাকা দিয়েছে।।
হঠাৎ বাইরে গিয়ে দেখলো , সেদিনের সেই বাবুটা….
সে চুপচাপ বেরিয়ে গেল, তারপর মন্দিরে বিয়ে করলো,, চোখে জল, সিঁথিতে সিঁদুর।।
হঠাৎ প্রশ্ন করলো , বাড়িতে কি বলবে।।
সে বললো, আমার কেউ নেই, আমি কেউ নই, আর আজ থেকে তুমি চামেলি না, চন্দ্রানি।।
মেয়েটি ভাঙা গলায় বললো কে বললো তোমার কেউ নেই , আমি আছি।।